সারা বিশ্বে সাদা চিনিকে white poison (সাদা বিষ) বলে মন্তব্য করে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ। পক্ষান্তরে লাল চিনি (Brown Sugar) স্বাস্থ্যসম্মত বটেই উপকারি। লাল চিনি সরাসরি আখ থেকে তৈরি অপরিশোধিত চিনি। লাল চিনিতে থাকে আখের সব উপাদান। যেমনঃ শর্করা, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, লৌহ, ম্যাঙ্গানিজ, উপকারী অ্যামাইনো অ্যাসিড, জিঙ্ক, থায়ামিন, রাইবোফ্লেবিন, ফলিক অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি।
লাল চিনির উপকারিতা-
* লাল চিনির মোলাসেস অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
* এতে বিদ্যমান ফলিক এসিড দেহে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।
* এ চিনি দেহে রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
* লাল চিনির খাদ্য উপাদান অন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখে এবং ক্ষুধামান্দ্য দূর করে।
* এ চিনির উপাদান হজমে সহায়তা করে।
* আয়রনসমৃদ্ধ হওয়ায় প্রসব-পরবর্তী সময়ে মায়েদের জন্য উপকারী।
* লাল চিনি ত্বক চর্চায় ব্যবহার হয়।
*সর্দিজ্বর হলে লাল চিনি এক কাপ গরম পানির সঙ্গে আদা কুচি ও লাল চিনি মিশিয়ে খেলে
সর্দিজ্বর দ্রুত ভালো হয়।
*ত্বক পরিচর্যায় লাল চিনি লাল চিনি ও দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে ফেসিয়াল মাস্ক হিসেবে
ব্যবহার করা যায়। প্রতিদিন একবার করে এ মাস্ক ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর হয় এবং
ত্বক উজ্জ্বল হয়।
কতটুকু খাবেন?
একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও মহিলাকে তার সারা দিনের গৃহীত খাদ্যশক্তির ৬-১০ শতাংশ চিনি থেকে গ্রহণ করা উচিত। তবে পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া বেশি চিনি গ্রহণ করা উচিত নয়।
দুঃখজনক সত্য যে, বাজারে সর্বত্রই সাদা চিনিতে সয়লাব। দেশী চিনির উৎপাদন কম হওয়ায় তা বাজারে নেই বললেই চলে।
তবে কোথাও পাওয়া গেলে তা সতর্কতার কিনুন। কারণ-
- রং মাখানো লাল চিনিতে বাজার সয়লাব যা মূলত সাদা চিনি।
- সাদা চিনির সাথে সামান্য দেশী চিনির মিশ্রণ থাকে যা দেশী চিনি বলে বিক্রি হয়।
আস্তর্জাতিক সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সরাসরি চিনি কল থেকে দেশী চিনি সংগ্রহ করে থাকে। তাই আমাদের চিনি শতভাগ নির্ভেজাল ও খাঁটি।
তবে দেশী চিনি প্রাকৃতিক বিধায় সবসময় বাদামী বা লালচে রং নাও হতে পারে (সাদা চিনির মতো ধবধবে সাদাও হবেনা)। এছাড়া ক্যামিকেল দিয়ে ওয়াশ হয়না বিধায় সামান্য ধুলিকনা থাকতে পারে।